এ বারও যেন সেই পথেই। টুর্নামেন্টের আগে নানা চমক। কিন্তু পথ হারানো। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর থেকে বেঙ্গালুরু হয়েছে টিম। বদলেছে লোগো। টিমে যোগ দিয়েছেন নতুন মাস্টারমাইন্ড। সব কিছু বদলেও যেন কিছুই বদলায়নি। এ বারের আইপিএলে আধডজন ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হার। টুর্নামেন্টের শুরুটাই হয়েছিল হার দিয়ে। এরপর ঘরে ফিরে জয়। সেটিই প্রথম, সেটিই আপাতত শেষ। টানা চার ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত বিরাটরা। আজ ঘরের মাঠে আরসিবির সামনে বিধ্বংসী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
হোম অ্যাডভান্টেজ! সেটা কী জিনিস? রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শিবিরে যেন এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কী করলে পরিস্থিতি বদলাবে এরও কোনও হদিশ নেই। ঘরের মাঠেও ব্যাকফুটে আরসিবি। টানা চার ম্যাচ হারের পর এমনটাই প্রত্যাশিত। ব্যাটাররা মরিয়া চেষ্টা করছেন। একটু বোধ হয় ভুল হল। হাতে গোনা দু-একজন। বিরাট কোহলি টুর্নামেন্টে এখনও অবধি সর্বাধিক রান স্কোরার। ডুপ্লেসি কিছুটা অবদান রেখেছেন। কোনও ম্যাচে দীনেশ কার্তিক। তালিকাটা দীর্ঘ নয়। একাদশে বদল এনেও রেজাল্ট বদলাচ্ছে না।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শিবিরে সবচেয়ে অস্বস্তি বোলিং আক্রমণ। সিরাজের সেই আগুন যেন নিভে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরাজের বিশ্রাম প্রয়োজন। বাকিদের পরিস্থিতিও একই। প্রত্য়েকটা টিমের বোলিং কম্বিনেশনেই কোনও না কোনও ইউএসপি রয়েছে। আরসিবিতে তা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও খুঁজে পাওয়া না গেলে, টুর্নামেন্ট শেষের অনেক আগেই আরসিবির কাছে শুধুই নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াবে।
পয়েন্ট টেবলে লাস্ট বয় আরসিবি। সামনে আজ সানরাইজার্স। যারা শুধুই ঘরের মাঠে জিতছিল। হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে পারলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে ব্যর্থ হচ্ছিল। সেই ধাক্কাও কাটিয়ে উঠেছে সানরাইজার্স। গত ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তাদের। বোলিংয়ে ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সকে সহযোগিতা করছেন বাকিরা। ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত। আর পাওয়ার হিটিং! আরসিবির রেকর্ড তো এ মরসুমেই ভেঙে দিয়েছে। আরসিবির বোলিংয়ের যা হাল, চিন্নাস্বামীর ছোট মাঠে নতুন রেকর্ড না তৈরি হয়। আটকানোর রাস্তা!
বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে অতিমানবীয় ইনিংস খেলে হয়তো বোর্ডে বড় রান তুলতে পারবেন, কিংবা ফাফ ডুপ্লেসি। কিন্তু জয়ের জন্য যে টিম হিসেবে খেলা প্রয়োজন। ক্রিকেট তো টিম গেমই।