চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা আর ধরে রাখতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ১০৬ রানে হারতে হয়েছে। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ২৯ রানে হার। জোড়া হারের ফলে টিমের মনোবল তলানিতে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আজ নামছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ঋষভ পন্থ ফর্মে, পৃথ্বী শয়ের চমৎকার প্রত্যাবর্তন হয়েছে। তবু কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। লোকেশ রাহুলের টিম কিন্তু ধীরে ধীরে ছন্দ খুঁজে নিচ্ছে। আজ দিল্লি যদি আবার হারে, তা হলে কিন্তু পয়েন্ট টেবলের তলানিতে নেমে যেতে হতে পারে।
দুটো চাপ মাথায় নিয়েই মাঠে নামতে হবে পন্থকে। এক, ছন্দে থাকা বোলার কুলদীপ যাদবকে পাওয়া যাবে না। লখনউয়ের একানা স্টে়ডিয়ামের পিচ ঘূর্ণী থাকবে। স্লো বল কার্যকর ভূমিকা যেমন নেবে, স্পিনারদের হাতে থাকবে ম্যাচের চাবিকাঠি। কুলদীপ থাকলে দিল্লি অ্যাডভান্টেজ পেতে পারত। তা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কুঁচকির চোটের কারণে খেলতে পারবেন না চায়নাম্যান বোলার। সেই সঙ্গে মিচেল মার্শের ছন্দে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে যাওয়াও ভারসাম্য নষ্ট করেছে টিমের। লখনউয়ের বিরুদ্ধে দুটো অঙ্ক ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখাতে পারে পন্থকে। এক, দুই ওপেনার পৃথ্বী ও ডেভিড ওয়ান যদি বড় রান দিতে পারেন টিমকে, তা হলে অ্যাডভান্টেজ নেওয়া যাবে। পৃথ্বী ছন্দে আছেন, কিন্তু ওয়ার্নার প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না। দ্বিতীয় অঙ্ক, একানার কন্ডিশন যদি কাজে লাগাতে পারেন অক্ষর প্যাটেল। ওয়াংখেড়েতে তিনি বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন। লখনউয়ের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে ম্যাচ জেতানো বোলিং চাইছে দিল্লি।
একানা স্টেডিয়ামের মন্থর বাইশ গজকে কাজে লাগিয়ে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছে রাহুলের দল। দিল্লির বিরুদ্ধেও তাই চাইছে দল। তবে পেস সেনসেশন মায়াঙ্ক যাদব তলপেটের চোটের কারণে হয়তো খেলতে পারবেন না এই ম্যাচে। তিনি না খেলতে পারলে খানিকটা চাপেই থাকবে টিম। সে ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে হবে নবীন উল হককে। আফগান বোলার বেশ ছন্দেও রয়েছেন। ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই জমজমাট হতে পারে। লখনউকে স্বস্তি দিচ্ছেন কুইন্টন ডি কক। রান পাচ্ছেন ধারাবাহিক ভাবে। অনরিখ নর্টজের সঙ্গে লড়াই হবে তাঁর। দিল্লি কখনও একানা স্টেডিয়ামে জেতেনি। টানা তিনটে ম্যাচ হেরেছে ডিসি.