দীর্ঘ পেশাদার ক্রিকেট কেরিয়ারে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকাদের সঙ্গে খেলেছেন। কিন্তু তাঁর দেখা সর্বকালের সেটা টিমম্যানের তকমাটা কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) এক প্রাক্তন তারকার জন্য তুলে রাখলেন গৌতম গম্ভীর। সোমবার কেকেআরের মেন্টর জানালেন যে ওই খেলোয়াড়ের জন্য তিনি গুলিও খেতে রাজি আছেন। তাঁকে সারাজীবনের জন্য ভরসা করতে পারেন। আর সেই খেলোয়াড় আর কেউ নন, বরং তাঁর নেতৃত্বে কেকেআরে খেলে যাওয়া রায়ান টেন দুশখাতে। গম্ভীর জানান, রায়ানের মতো টিমম্যান জীবনে কখনও দেখেননি তিনি। তাই নিজের ৪২ বছরের জীবনে যে কথা কারও জন্য বলেননি, সেই কথাটা রায়ানের ক্ষেত্রে বলতে একবারও কুণ্ঠাবোধ করছেন না। যে রায়ান ২০২২ সাল থেকে ফের কেকেআরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আপাতত দলের ফিল্ডিং কোচ হলেন তিনিই।
সেই রায়ানের প্রশংসা করে সোমবার কেকেআরের জার্সি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেন, ‘আমার ৪২ বছরের কেরিয়ারের আমি কখনও এরকম কথা বলিনি। কিন্তু আমি আজ সেটা বলতে চাই। আমি যাদের সঙ্গে খেলেছি, তাদের মধ্যে সর্বকালের সেরা টিমম্যান হল (রায়ান টেন দুশখাতে)। সবথেকে স্বার্থহীন মানুষ। ও এমন একজন, যার জন্য আমি গুলি খেতেও পারি। ওকে আমি সারাজীবনের জন্য ভরসা করতে পারি।’
আর এমনি কথার কথা যে রায়ানকে সেই তকমা দিচ্ছেন না, সেটাও স্পষ্ট করে দেন গম্ভীর। কেন নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিষয়ে এমন কথা বলছেন, সেটার কারণ ব্যাখ্যা করেন কেকেআরের মেন্টর। তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলছি কারণ (আমি নিজে সেটা চোখের সামনে দেখেছি)। ২০১১ সালে কেকেআরের অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচে আমাদের হাতে মাত্র চারজন বিদেশি খেলোয়াড় ছিল। (কয়েকদিন আগেই) আর এই মানুষটা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছিল। কিন্তু আমরা ওই ম্যাচে (কেকেআর অধিনায়ক হিসেবে গম্ভীরের প্রথম ম্যাচ) মাত্র তিনজন বিদেশিকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। ওই ম্যাচে ও ড্রিঙ্কস নিয়ে আসছিল। চোখে-মুখে হতাশার লেশমাত্র ছিল না। ও আমায় নিঃস্বার্থতা শিখিয়েছে।’
গম্ভীর যখন সেই কথাগুলো বলছিলেন, তখন মঞ্চের নীচেই বসেছিলেন রায়ান। যিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেকেআরের সেরা সময় গম্ভীরের অধীনে খেলেছিলেন। দু’বার জিতেছেন আইপিএল (২০১২ সাল এবং ২০১৪ সাল)। আর তারপর তাঁকে যখন কেকেআরের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, তখন নাইট সিইও বেঙ্কি মাইসোর বলেছিলেন, ‘ফিল্ডিং কোচ হিসেবে টেন্ডোকে নাইট পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে অত্যন্ত খুশি আমি। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে খেলোয়াড় হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ২০১২ সাল এবং ২০১৪ সালে কেকেআর যখন আইপিএল জিতেছিল, তখনও দলে ছিল। এত বছর ধরে ও কেকেআরের প্রকৃত সমর্থক থেকেছে।’