রেকর্ড রান তুলেও স্বল্প ব্যবধানে ম্যাচ জিতছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার ঘরের মাঠে ২০০ তুলেও উড়ে গেল গুজরাত টাইটান্স। ৪ ওভার বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (GT vs RCB)।
লক্ষ্য ২০১ রান। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসির ফিরে যাওয়া। তবু আরসিবিকে সমস্যায় পড়তে হয়নি বিরাট কোহলি ও উইল জ্যাকসের জন্য। মাত্র ৪১ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন জ্যাকস। কোহলি ৪৪ বলে ৭০ রানে অপরাজিত রইলেন। ১৬ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ আরসিবির।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গুজরাতের দুই ব্যাটারের। রান পাননি শুভমন গিল (Shubman Gill)। ১৯ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক। ঋদ্ধিমান সাহাও ব্যর্থ। মাত্র ৫ রান করে ফিরলেন। তবে সেই খামতি ঢেকে দিলেন শাহরুখ খান। ৩০ বলে ৫৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। ৪৯ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে আরসিবি বোলিংকে বিঁধলেন সাই সুদর্শনও।তৃতীয় উইকেটে ৪৫ বলে ৮৬ রানের পার্টনারশিপে আরসিবি বোলিংকে চাপে ফেলে দেন সুদর্শন ও শাহরুখই। অবিচ্ছেদ্য চতুর্থ উইকেটে ৩৬ বলে ৬৯ রান যোগ করলেন সুদর্শন ও ডেভিড মিলার। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে গুজরাত তুলেছিল ২০০/৩।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেছিলেন ডুপ্লেসি। তবে ১২ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান তিনি। তারপর ক্রিজে নামেন জ্যাকস। সেখান থেকে কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ বলে ১৬৬ রানের অবিচ্ছেদ্য ইনিংস। ম্যাচের রং একা হাতে পাল্টে দিয়ে যান জ্যাকস। ৫ চার ও ১০ ছক্কায় সাজানো বিধ্বংসী ইনিংস জ্যাকসের। ৪৪ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বিরাট।
এই ম্যাচ জিতে আরসিবির পয়েন্ট দাঁড়াল ৬। পরপর দুটি ম্যাচ জিতলেন কোহলিরা। বাকি চার ম্যাচের সবকটি জিতলে ১৪ পয়েন্টে দাঁড়াবে আরসিবি। প্লে অফ সম্ভব? খাতায় কলমে অন্তত নয়। কারণ, আরসিবিকে প্রার্থনা করতে হবে রাজস্থান রয়্যালস ছাড়া আর কোনও দলই যেন ১৬ পয়েন্টে না পৌঁছে যায়। যদিও ইতিমধ্যেই ১০ পয়েন্ট করে নিয়ে.