আবারও বেফাঁস উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। দিনহাটায় (Dinhata) তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভায় ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উদয়ন গুহ। তাঁর কথায়, সরকারি সুবিধা নিলে ভোট দিতে হবে তৃণমূলকেই। তৃণমূলকে ভোট না দিলে জুটবে ‘দুয়ারে প্রহার’ (Duare Prohar) প্রকল্প। উদয়ন গুহর এই মন্তব্যের পরই রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও পাল্টা ‘সাফাই’ গেয়েছেন উদয়ন গুহ। তবে তাঁকে ও ঘাসফুল শিবিরকে তীক্ষ্ম সমালোচনায় বিঁধতে ছাড়েনি প্রতিপক্ষ পদ্ম ব্রিগেড।
রবিবার দিনহাটা (Dinhata) শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের (TMC) এক কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। পুরভোটকে (Municipal Election 2022) সামনে রেখে এই কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানেই দলীয় কর্মীদের একপ্রকার হুমকি দিতে শোনা যায় উদয়ন গুহকে (Udayan Guha)। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার মায়েদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়েছে। মায়েদের তো কিছু বলা যায় না, তবে পুরুষদের জন্য বেসরকারিভাবে পুরসভার নারায়ণের ভান্ডার রয়েছে। নারায়ণের ভান্ডারের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাহলে তাদের জন্য নতুন একটি প্রকল্প চালু করা হবে হবে। তা হল দুয়ারে প্রহার (Duare Prohar)। সেটা যেন মাথায় থাকে।” পুর নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর এই মন্তব্যকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে।
যদিও Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উদয়ন গুহ (Udayan Guha) দাবি করেন, “সেভাবে আমি বলিনি। আমি আমার কর্মীদের বলেছি। অনেকেই নারায়ণ ভান্ডারের সুযোগ নিয়েছে। এখন নারায়ণ ভান্ডার বলে তো সরকারি কোনও সুবিধা নেই। কিন্তু সরকারি সুযোগ সুবিধা, পুরসভার সুযোগ সুবিধা কর্মীদের দিয়েছি। আমাদের কর্মীদের বলেছি, যাঁরা বছরের পর বছর দলের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন, পুরসভার কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন, পুরভোটের (Municipal Election 2022) সময় যদি তাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তবে তাঁদের জন্য আরেকটা নতুন প্রকল্প চালু হতে পারে, সেটা হচ্ছে দুয়ারে প্রহার (Duare Prohar)। আমি আমার কর্মীদের বলেছি। আর সেটা আমি উল্লেখও করে দিয়েছিলাম। এটার মধ্যে বাইরের লোকের তো কিছ
অন্যদিকে উদয়ন গুহর এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন. “উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) অনেক ধন্যবাদ। কারণ এই সহজ, সরল সত্যটা ঠিক তৃণমূলী লাইনে মানুষের সামনে উপস্থিত করেছেন। এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। ১১ বছর রাজত্ব করার পরেও তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকার হয়ে উঠতে পারেনি, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার হয়ে থেকে গিয়েছে। তারা মনে করে এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে কোনও মুখ্যমন্ত্রী নেই, যিনি আছেন, তিনি রাজতন্ত্রের প্রতিভূ হয়ে আছেন। তাই যাঁরা যাঁরাই তাঁর অনুদান নেবেন, কৃপাধন্য হবেন, তাঁদের ভোট দিতে হবে। তাঁদের আনুগত্য দেখাতে হবে। আনুগত্য-ই প্রথম ও আনুগত্য-ই শেষ। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় ভোট হয়েছে। সমস্ত ভোটেই তৃণমূলীরা দরজায় দরজায় গিয়ে বলেন, যদি আমাদের ভোট না দাও, তাহলে সরকারি সমস্ত প্রকল্প থেকে তোমরা বঞ্চিত