ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচে দর্শকদের পয়সা উশুল হয়ে গিয়েছে। ম্যাচের প্রথম বল থেকে টানটান উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গিয়েছে। শেষ হাসি অবশ্য হেসেছে পঞ্জাব কিংস, তবে তারা ম্যাচ জিতেই ক্ষান্ত থাকেনি, রেকর্ড তৈরি করেছে। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে তারা টি-২০ তে সবথেকে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড তৈরি করেছে।
ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স ২৬২ রানের টার্গেট দেওয়ার পর মনে করা হয়েছিল KKR আরও একটা ম্যাচে জিততে চলেছে। কিন্তু তাদের সেগুড়ে বালি। জনি বেয়ারস্টো ফর্মে ফিরলেন ও দলকে জেতালেন। ১০৮ রানের একটা ইনিংস খেলে অপরাজিত রইলেন। বেয়ারস্টো ফর্মে ফেরার জন্য বেছে নিলেন এই একটা ম্যাচকেই আর সেই ম্যাচেই তিনি জিতিয়ে দিলেন দলকে। তবে তাঁরে সঙ্গত দিয়েছেন প্রভসিমরন সিং ও শশাঙ্ক সিং। প্রভসিমরন সিং করেন ৫৪ ও শশাঙ্ক সিং করেন ৬৮।
এক ম্যাচে উঠল ৫২৩। কোনও বোলারই সাফল্য পাননি বল হাতে। স্পিনার হোক বা পেসার সকলেই মার খেয়েছেন। তাই প্রথম ইনিংসে ২৬১ রান করার পরেও KKR বল হাতে লড়াই দিতে পারেনি। পঞ্জাব কিংস তাদের খারাপ সময় কাটিয়ে এই ম্যাচে শুধু কামব্যাকই করল না, বরং আট বল বাকি থাকতে তারা রান তাড়া করে জিতে গেল।
পুরোটাই শুরু হয় প্রভসিমরন সিংকে দিয়ে। মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করে তিনি শুরুটা করেন। পাওয়ার প্লে-তে পঞ্জাব কিংস এক উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান তোলে। এরপর জনি বেয়ারস্টো দলের হাল ধরেন। ইংল্যান্ডের এই প্লেয়ারকে থামানো যায়নি। মাত্র ৪৮ বলে তিনি ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। আটটা চার ও নয়টা ছক্কা মারেন তিনি পুরো ইনিংসে। এরপর শেষের দিকে ছিলেন শশাঙ্ক সিং। ২৮ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।
কিংস২৬২কলকাতা নাইট রাইডার্সকলকাতা২০২৪রাজস্থান রয়্য়ালস২২৪কিংস ইলেভেন পঞ্জাবশারজাহ২০২০রাজস্থান রয়্যালস২২৪কলকাতা নাইট রাইডার্সকলকাতা২০২৪মুম্বই ইন্ডিয়ান্স২১৯চেন্নাই সুপার কিংসদিল্লি২০২১
তবে শুধু সর্বোচ্চ রান তা়ড়া করেই জেতায় নয়, এই ম্যাচে সবথেকে বেশি ছয় হল। গোটা ম্যাচে মোট ৪০ ওভারে ছয় হয় ৪২ টি। অর্থাৎ, প্রতি ওভারে একটিরও বেশি ছয়। এরআগে এই সংখ্যাটা ছিল ৩৮। এক ইনিংসে সবথেকে বেশি ছয় মারার রেকর্ড তৈরি হল। পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিংয়ের সময় মোট ২৪টা ছয় মারল তারা। সব মিলিয়ে KKR-এর হারের ম্যাচে রেকর্ডের ছড়াছড়ি দেখা গেল।
ছোট থেকে খবরের প্রতি ভালোবাসাই সাংবাদিক হতে সাহায্য করেছে। ২০১৪ সাল থেকে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। বড় ময়দানে ২০১৭ সালে। ETV ভারত, মাইক্রোসফট নিউজ ঘুরে এখন এই সময় ডিজিটালের হয়ে চার-ছয় মারছেন, কয়েকটা বাইসাইকেল কিকও হয়েছে। ফুটবল-ক্রিকেট-টেনিস থেকে অ্যাথলেটিক্স সহ খেলার দুনিয়ার সবকিছু দেখা ও তা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভালোবাসেন। অবসর সময়ের সঙ্গী বই। আর এক নেশা আবৃত্ত