বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের পর কলকাতার হোটেলে লুকিয়ে ছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা! নাম কী লিখেছিল তাঁরা? দেখে নিন এক নজরে…..
#কলকাতায় হোটেলে ঘুরতে থাকা জঙ্গি
রামেশ্বরমের ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে NIA। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ,কর্ণাটক, কেরল ও তেলাঙ্গানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত কাঁথি শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনার রাজনৈতিক চাপানউতোরও চরমে উঠেছে। ধৃতদের জঙ্গিদের নাম আব্দুল মাতিন তাহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব। এই সাজিবই ক্যাফেতে আইইডি বসিয়েছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে ক্যাফে বিস্ফোরণে জড়িতদের খোঁজ দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিল NIA। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে ওই দুই যুবক।
তবে তদন্তে দেখা গিয়েছে ২৮ দিন ধরে বাংলায় ঘুরেছে ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। কিন্তু ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এখানেই শেষ নয়, গত ১৩ মার্চ কলকাতার লেনিন সরণির একটি হোটেলে উঠেছিল ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। হোটেলের রেজিস্টারে তারা টুরিস্ট পরিচয় দিয়েছিল। জানিয়েছিল তারা দার্জিলিং থেকে এখানে ঘোরার জন্য এসেছে। এরপর তারা চেন্নাই ফিরে যাবে। তবে একদিন তারা কলকাতার হোটেলে থেকেই চলে যায়।
এদিকে ২৮দিন ধরে তারা বাংলায় ছিল বলে খবর মিলছে। আর সেটাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। বিধাননগর থানায় ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আনা হয়। তাদের হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। তারা সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চায়নি। কিছুক্ষণের জন্য তাদের বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার রাতে দিঘার হোটেলে হানা দেয় NIA । সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করে। নিউ দিঘার হোটেলে তারা ছিল বলে খবর। এদিকে রামেশ্বরমে বিস্ফোরণের ঘটনার পর এভাবে বাংলায় জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বিভিন্ন মহলে,এতে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে।
ভুয়ো আধার কার্ড জমা দিয়ে তারা কলকাতায় ছিল বলে অভিযোগ। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্য়মে ১৩ মার্চে এসেছিল তারা। এরপর ১৪ মার্চ তারা চেক আউট করে দুপুর ১২টায়। পর্যটক পরিচয় দিয়ে তারা এসেছিল। তারা চেন্নাই যাবে বলে জানিয়েছিল।
যে নামটি তারা রেজিস্টারে কেটেছে সেটি হল ভিগ্নেশ। আসলে ভিগ্নেশ নামে একজন পরিচিত ছিল। সেকারণে নামটা লিখেও তারা কেটে দেয়।
এদিকে ১২ মার্চ ও ১৩ মার্চও তারা কলকাতার হোটেলে ছিল বলে খবর। শিলিগুড়ি থেকে তারা এসেছিল বলে জানিয়েছিল।