নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমা সংস্থাগুলি বয়সের কারণ দেখিয়ে আর স্বাস্থ্যবিমা করা আটকাতে পারবে না। চাইলে সংস্থাগুলি প্রবীণ নাগরিক, পড়ুয়া, গর্ভবতীদের আলাদা আলাদা পলিসি তৈরি.
চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের আয়ুষ্কাল। সে দিকে তাকিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ইন্সুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই)। ৬৫ উর্ধ্বদেরও এবার বিমা পরিষেবার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিল বিমা নিয়ামক সংস্থা। আগের নিময় অনুযায়ী ৬৫ বছর পরিয়ে গেলেই আর স্বাস্থ্য বিমা করানো যেতো না। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৬৫ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বাস্থ্য বিমা করা যাবে।
নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমা সংস্থাগুলি বয়সের কারণ দেখিয়ে আর স্বাস্থ্যবিমা করা আটকাতে পারবে না। চাইলে সংস্থাগুলি প্রবীণ নাগরিক, পড়ুয়া, গর্ভবতীদের আলাদা আলাদা পলিসি তৈরি করতে পারে। তবে প্রবীণদের কোনও মতে বাদ দেওয়া যাবে না।
তবে এই স্বাস্থ্যবিমা ৬৫ ঊর্ধ্ব প্রবীণদের কতটা নাগালের মধ্যে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, তাঁদের কভারেজ দেওয়ার জন্য বিমা সংস্থাগুলি প্রিমিয়ামের খরচ বাড়াবে। ওই বয়েসে বছরে একগাদা টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে ক’জনই বা পারবেন বিমা করতে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ১ এপ্রিল থেকে এ নিয়ম চালু হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিমার ওয়েটিং পিরিওডও কমানো হচ্ছে। আগে ওয়েটিং পিরিওড় ছিল ৪৮মাস। সেটিকে বর্তমানে কমিয়ে করা হচ্ছে ৩৬ মাস। অর্থাৎ বিমা করানোর তিন মাস পর থেকে স্বাস্থ্যবিমার কভারেজ পাওয়া যাবে। শরীরে যদি আগে থেকে কোনও রোগ থাকে তবে তাো চিকিৎসা.
এবার থেকে ক্যানসার, হার্ট ফেলিওর, রেনাল ফেলিওর কিংবা এইডসে আক্রান্তরাও স্বাস্থ্যবিমা করাতে পারবেন। আগে এই ধরনের জটিল রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিমা করানো যেতো না। এখানেও প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের জটিল রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিমা প্রিয়িয়ামের যা খরচ হবে, তা কী সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকবে? আইআরডিএআই-এর এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় বিমাসংস্থাগুলি। এখন তারা কী পদক্ষেপ করেন সেটাই দেখার।