আরজি করের দুর্নীতি মামলার তদন্তে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ ১৫ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁদের বেশ কয়েকজনকে নিজাম প্যালেসে ডেকে দীর্ঘসময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। রবিবারের অভিযানে বেশ কিছু নথি মিলেছে। তার সঙ্গে তরুণী চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে দুর্নীতিরও সম্পর্ক রয়েছে। এই তদন্তও সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে সিবিআই।
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় ক্রমশ গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই। রবিবার এই মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ ১৫ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। যাঁদের প্রত্যেকেই ওই অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ। সোমবার তাঁদের বেশ কয়েকজনকে ফের নিজাম প্যালেসে ডেকে দীর্ঘসময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা।
সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রবিবারের অভিযানে বেশ কিছু নথি মিলেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তরুণী চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে দুর্নীতিরও সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণেই খুনের মামলার পাশাপাশি দুর্নীতির তদন্তও সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তাঁরা।
রবিবার আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক-শিক্ষক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরে বাড়িতে তল্লাশি চলে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজামে প্যালেসে। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। বিকেল চারটে নাগাদ তিনি যান নিজাম প্যালেসে। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দেবাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তাঁর বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতি থাকায় সোমবার ফের তলব করা হয়। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন দেবাশিস। দুপুর ৩ টে নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। পাশাপাশি, এদিন ক্যাফে ব্যবসায়ী চন্দন লৌহের বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রবিবার আরজি কর হাসপাতাল থেকে সন্দীপের ব্যবহৃত কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
হাসপাতালের অর্থ বিভাগ থেকেও কিছু নথি মিলেছে। যা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি থেকে এদিন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার আসেন কলকাতায়। বিমানবন্দরে নেমে তিনি সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসে। আরজি করের তদন্ত কোনপথে এগোবে তা ঠিক করতে সেখানে দীর্ঘসময় ধরে বৈঠক করেন দিল্লির ওই কর্তা।
শ্যামগোপাল রায়২ ০১২ সালে সংবাদপত্রে রিপোর্টার করে।